Today November 1, 2025, 04:05 AM

ফেরেশতারা যাদের অ ভি শা প দেন

admin
Published November 1, 2025, 04:05 AM
ফেরেশতারা যাদের অ ভি শা প দেন


Manual6 Ad Code

ফেরেশতারা যাদের অ ভি শা প দেন

মাইমুনা আক্তার

Manual1 Ad Code

 

বহু কাজ এমন আছে, যেগুলোকে আমরা তুচ্ছ মনে করি, কিন্তু আসলে সেগুলো তুচ্ছ বিষয় নয়। বাহ্যিক দিক থেকে কাজগুলোকে খুব স্বাভাবিক মনে হলেও সেগুলো হতে পারে বড় ধরনের বিপদের কারণ। তাই মুমিনের উচিত ক্ষতিকারক সব ধরনের কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা। আজকে আমরা জানব, এমন কয়েকটি কাজ, যেগুলোকে আমরা স্বাভাবিক ভাবলেও সেগুলোর কারণে মানুষ ফেরেশতাদের অভিশাপের শিকার হয়।

Manual2 Ad Code

সাহাবিদের গালি দেওয়া : মহানবী (সা.)-এর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তান ও সৌভাগ্যবান সাহাবিদের গালি দেওয়া অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। যে অপরাধের ব্যাপারে সতর্ক করে মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার সাহাবিদের গালি দেবে, তার ওপর আল্লাহর অভিশাপ, ফেরেশতাদের অভিশাপ এবং সমস্ত মানুষদের অভিশাপ অবতীর্ণ হোক।’ (তাবরানি)

তাই মুমিনের উচিত মহানবী (সা.)-এর সম্মানিত সাহাবিদের ব্যাপারে অসৌজন্যমূলক উক্তি করা থেকে বিরত থাকা। তাঁদের সম্মান ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকা।

পবিত্র মদিনার পবিত্রতাবিরোধী কাজ করা : পবিত্র মদিনাকে মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) কিয়ামতের দিন পর্যন্ত পবিত্র ও হারাম ঘোষণা করেছেন। তাই এ জায়গাটি অন্য সাধারণ জায়গার মতো নয়; বরং এর মর্যাদা ও পবিত্রতা মক্কার পবিত্রতার কাছাকাছি। এই শহরের জন্য মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই ইবরাহিম (আ.) মক্কাকে পবিত্র করেছেন, আর আমি মদিনার দুই কঙ্করময় এলাকার মধ্যবর্তী অংশকে পবিত্র ঘোষণা করছি।’
(বুখারি, হাদিস : ৩৯২২)

মদিনায় গিয়ে সেখানকার পবিত্রতা ক্ষুণ্ন হয়, এমন কাজে লিপ্ত হলেও ফেরেশতারা অভিশাপ দেয়।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ইবরাহিম তায়মি (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা বর্ণনা করেছেন যে একবার আলী (রা.) পাকা ইটের তৈরি একটি মিম্বারে উঠে আমাদের উদ্দেশে খুতবা দিলেন। তাঁর সঙ্গে একটি তলোয়ার ছিল, যার মধ্যে একটি সহিফা ঝুলছিল। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমাদের কাছে আল্লাহর কিতাব এবং যা এই সহিফাতে লেখা আছে এ ছাড়া অন্য এমন কোনো কিতাব নেই, যা পাঠ করা যেতে পারে। তারপর তিনি তা খুললেন। তাতে উটের বয়স সম্পর্কে লেখা ছিল এবং লেখা ছিল ‘আয়র’ পর্বত থেকে অমুক স্থান পর্যন্ত মদিনা হারাম (পবিত্র এলাকা) বলে গণ্য হবে।

যে কেউ এখানে কোনো অন্যায় করলে তার ওপর আল্লাহ, ফেরেশতামণ্ডলী ও সব মানুষের অভিসম্পাত। (বুখারি, হাদিস : ৭৩০০)
মুমিনকে অস্ত্র তাক করে ভয় দেখানো : অনেক সময় মানুষ প্রভাব বিস্তারের জন্য বা ঝগড়ায় প্রতিপক্ষকে ভয় পাইয়ে দিতে মারণাস্ত্র দিয়ে ভয় দেখায়। তা দেশি অস্ত্রও হতে পারে, আবার আধুনিক অস্ত্রও হতে পারে। যাই হোক, যতক্ষণ সে অপর মুমিনের প্রতি অস্ত্র তাক করে, হুমকি দেয়, ততক্ষণ তার ওপর ফেরেশতারা অভিশাপ দেয়। ইবনে সিরিন (রহ.) বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আবুল কাসিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রতি (লৌহ নির্মিত) মারণাস্ত্র দ্বারা ইঙ্গিত করে সে তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত ফেরেশতারা তাকে অভিসম্পাত করতে থাকে যদিও সে তার আপন ভাই হয়।

(মুসলিম, হাদিস : ৬৫৬০)

অপরাধীকে প্রাপ্য শাস্তি থেকে বাঁচানো : যে ব্যক্তি জেনেশুনে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো প্রমাণিত হত্যাকারী ও জঘন্য অপরাধীকে পার পাইয়ে দেয়, তাকেও ফেরেশতারা অভিশাপ দেয়। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো দাঙ্গা-হাঙ্গামায় অথবা পাথর, কোড়া অথবা লাঠি ছোড়াছুড়ির মধ্যে পড়ে নিহত হয়, তার দিয়াত হবে ভুলে হত্যার দিয়াতের মতো, আর যদি ইচ্ছাকৃত হত্যা হয়, তবে তাতে কিসাস ওয়াজিব হবে। আর যদি কেউ এর মধ্যে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তবে তার ওপর আল্লাহর, ফিরিশতাদের এবং সব লোকের অভিশাপ। তার ফরজ বা নফল কিছুই কবুল হবে না।

Manual6 Ad Code

(নাসায়ি, হাদিস : ৪৭৮৯)

বিডি-প্রতিদিন

Manual1 Ad Code