সিলেট [english_date], [bangla_date], [hijri_date]

সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনে সং ক ট আরও ঘ নী ভূ ত

admin
প্রকাশিত November 7, 2025, 05:18 PM
সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনে সং ক ট আরও ঘ নী ভূ ত

সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনে
সং ক ট আরও ঘ নী ভূ ত
# পদত্যাগ করছেন একাধিক দায়িত্বশীল
# সংকট নিরসনে বেখবর পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

বিদেশে ছুটিতে থাকা হাসপাতালের পরিচালক কর্নেল (অব.) শাহ আবিদুর রহমানকে জোরপূর্বক অপসারণের পর সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। কার্যকরী পরিষদ নিয়ে বিদ্যমান সংকটের মাঝে পরিচালককে অপসারণের ঘটনা প্রকাশের পর হাসপাতাল একরকম অচলাবস্থার মধ্যে নিপতিত হতে চলেছে। হৃদরোগের জন্য বিশেষায়িত ও সুখ্যাতি অর্জনকারী সিলেটের এই চ্যারেটি প্রতিষ্ঠান সংকটে নিমজ্জিত হওয়ার পর তা থেকে উত্তরণের কোনো উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা না চালিয়ে একে আরও জটিলতার দিকে নিয়ে যাওয়ার হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে পরিষদের দায়িত্বশীলদের কাছে থেকে। এটি যেন হার্ট ফাউন্ডেশনে লাগা আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে।
ফাউন্ডেশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সংকট শুরু পরিচালনা পরিষদ গঠন নিয়ে। আধিপত্য বিস্তার এবং হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ একটি পক্ষ এককভাবে হস্তগত করতে সিলেকশনে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে বর্তমান কার্যকরি পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো: আমিনুর রহমান লস্কর নিজেদের পছন্দের লোক দিয়ে পরিষদ গঠন করে হাসপাতালে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে বিতর্ক এড়াতে সেই কমিটিতে কিছু নিরপেক্ষ ও ভিন্ন বলয় থেকেও কয়েকটি সম্পাদকীয় পদে দায়িত্ব দেয়া হয়। অভিযোগ উঠে, যাদের পদে নিয়ে আসা হয়েছে তাদের বেশি সংখ্যককে আগে বলাও হয়নি। এমনকি অপছন্দের পদেও নাম বসিয়ে দেয়া হয়েছে কারও কারও। পরিষদ ঘোষণার পর তারা এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এদিকে এ অবস্থায় পরিষদ হাসপাতালের দীর্ঘদিনের পরিচালক কর্নেল(অব.)শাহ আবিদুর রহমানকে বিদেশে মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে ছুটিতে থাকার সময় অপসারণ করে।
এটি মানতে পারেননি পরিষদের অনেকেই। তাদের মধ্যে রয়েছেন কার্যকরি পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সোবহানী চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা.মোস্তফা শাহ জামান চৌধুরী বাহার, পাবলিসিটি সেক্রেটারি আবু তালেব মুরাদসহ আরও কয়েকজন। তারা বিষয়টি বিবেচনার জন্য মৌখিক সুপারিশ করেন। কিন্তু তা আমলে নেয়া হয়নি।
সূত্র জানায়, এভাবেই সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনের ক্ষোভ ছোট থেকে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। এ মুহূর্তে পরিষদের শীর্ষ দায়িত্বশীলদের স্বেচ্ছাচারিতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এজন্য ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে সবখানে। তার প্রভাব পড়ছে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায়। লাগছে চিকিৎসক সংকট। বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে উন্নয়ন ইস্যুও। বিষয়টি মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনে এরই মধ্যে পরিষদের কয়েকজন সদস্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।জানা গেছে তারা শনিবারই নিজেদের লিখত পদত্যাগপত্র পরিষদের সভাপতির কাছে প্রদান করবেন।

পদত্যাগ করবেন এমন এক দায়িত্বশীল সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এভাবে সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশন পরিচালনার জন্য জতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার(অব.)মরহুম ডা.এ মালিক তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেননি। যে লক্ষ্য নিয়ে ফাউন্ডেশনের যাত্রা, সিলেটে যা হচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে সেটি ব্যহত হবেই।

সম্প্রতি কার্যকরি পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো: আমিনুর রহমান লস্কর পরিষদ নিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠনের কথা জানান। পরিষদের পাবলিসিটি সেক্রেটারি ও সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক আবু তালেব মুরাদ অন্য দায়িত্বশীলদের পদত্যাগের ব্যাপারে বলেন ঘটনাটি তার কানেও এসেছে।তিনি বলেন, সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশন সংকটে আছে এটি ঠিক। তবে সেই সংকট কাটিয়ে উঠার চেষ্টা আমাদের করা দরকার। প্রশ্ন হলো, আমরা কি তা করছি? তিনি বলেন, ক্ষোভ আছে পরিষদ নিয়ে। তাদের কেউ যদি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন,সেটা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ