জেলা প্রশাসক মহোদয় আপনার ঘুম ভাঙ্গবে কখন! সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে থামছে না পাথর লুট, শাহ আরেফিন টিলার ৮৫ শতাংশ পাথর উধাও
জেলা প্রশাসক মহোদয় আপনার ঘুম ভাঙ্গবে কখন! সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে থামছে না পাথর লুট, শাহ আরেফিন টিলার ৮৫ শতাংশ পাথর উধাও
admin
প্রকাশিত November 7, 2025, 03:43 PM
জেলা প্রশাসক মহোদয় আপনার ঘুম ভাঙ্গবে কখন! সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে থামছে না পাথর লুট, শাহ আরেফিন টিলার ৮৫ শতাংশ পাথর উধাও
ডেস্ক রিপোট
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অবৈধভাবে পাথর লুট থামছে না। সম্প্রতি সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে পাথর লুটের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড়ের পর প্রশাসন ও যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার করলেও এবার লুট চলছে ‘পাথরের খনি’খ্যাত শাহ আরেফিন টিলা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহ আরেফিন টিলার প্রায় ৮৫ শতাংশ পাথর ইতিমধ্যে লুট হয়ে গেছে। টিলা কেটে পাথর সরিয়ে নেওয়া হলেও অভিযান শেষে ফের শুরু হয়েছে অবৈধ উত্তোলন।
গেলো বুধবার রাতে ও আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে শাহ আরেফিন টিলা থেকে লুট করা মোট পাঁচ ট্রাক্টর ও ট্রাকভর্তি পাথর জব্দ করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ এলাকায় চারটি ট্রাক্টরভর্তি পাথর নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ দেখে চালকেরা পাথর ও গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে চার ট্রাক্টরভর্তি পাথর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে তল্লাশিচৌকিতে এক ট্রাকভর্তি পাথর জব্দ করা হয়। এ সময় ট্রাকের চালক পালিয়ে যান। উদ্ধার করা পাথর উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুলিশের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
এর আগে সাদাপাথরের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। এসব চৌকিতে পাথর ও বালুবাহী যানবাহনের বৈধ কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে। কাগজপত্র না থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, ‘আটক করা ট্রাক ও পাথর পুলিশের জিম্মায় রয়েছে। এগুলো শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হয়েছে। ঘটনাটিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাথর জব্দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
উল্লেখ্য, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সরকারি খাস খতিয়ানের ১৩৭ দশমিক ৫০ একর জায়গাজুড়ে শাহ আরেফিন টিলা অবস্থিত।
কথিত আছে, প্রায় ৭০০ বছর আগে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর সফরসঙ্গী হজরত শাহ আরেফিন (রহ.) এখানে অবস্থান করেছিলেন। তাঁর নামানুসারেই টিলাটির নাম রাখা হয় শাহ আরেফিন টিলা। এখন সেই ঐতিহাসিক টিলাটি পাথর লুটের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।