জরুরি তলবে ঢাকায় গেছেন সিলেট-১ আসনের বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির তলবে তিনি মঙ্গলবার সকালে বিমানের ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান।
আরিফুল হক চৌধুরী ইমজা নিউজকে জানান, “সংগঠনের কাজে ঢাকায় আছি। পরে বিস্তারিত জানাবো।” এরপর তিনি ফোন রেখে দেন।
দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরিফুল হক চৌধুরীকে জরুরি আলোচনার জন্য ঢাকায় ডাকা হয়েছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসন (সিলেট সিটি করপোরেশন ও সদর) থেকে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। তবে সোমবার ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের অপর উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। তিনি ২০১৮ সালেও এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। তার বাবা মরহুম খন্দকার এম এ মালিক ছিলেন একই আসনের সাবেক এমপি।
দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে কিছুটা হতাশ হয়েছেন আরিফুল হক চৌধুরী। কারণ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তার ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, তিনি নিশ্চিত ছিলেন মনোনয়ন পাবেন।
এদিকে সোমবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর রাতেই নগরীর কুমারপাড়াস্থ তার বাসায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভিড় জমে। অনেকেই প্রস্তাব করেন, সিলেট-৪ আসনে যেহেতু এখনো দল প্রার্থী ঘোষণা করেনি, তাই তিনি চাইলে সেখান থেকে প্রার্থী হতে পারেন। তবে আরিফুল হক চৌধুরী সে প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দেন।
দলের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “দল চায় আরিফ অন্য কোনো আসন থেকে প্রার্থী হোন, কিন্তু তিনি তাতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, ‘দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, আমি তা মেনে নিচ্ছি।’”
সূত্র আরও জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিলেট-১ আসনের প্রার্থী নির্বাচনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের অভিজ্ঞতা, পূর্বের নির্বাচন পরিচালনা এবং পরিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্য বিবেচনায় এবারও তাকে মনোনয়ন দেয় দল।
উল্লেখ্য, সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিলেট বিভাগের ১৯টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৪টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল সিলেট-১ আসন—যেখানে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাম না থাকায় তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।