সিলেট [english_date], [bangla_date], [hijri_date]

সিসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বড় বাধা ডে লেবার ! বিগত ১৭ বছর থেকে অদ্যাবধী ডে লেবারের নামে টাকা লু..ট..করছে !

admin
প্রকাশিত November 4, 2025, 07:39 AM
সিসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বড় বাধা ডে লেবার ! বিগত ১৭ বছর থেকে অদ্যাবধী ডে লেবারের নামে টাকা লু..ট..করছে !

সিসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বড় বাধা ডে লেবার ! বিগত ১৭ বছর থেকে অদ্যাবধী ডে লেবারের নামে টাকা লু..ট..করছে !

ডেস্ক রিপোট

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং টেকসই নগর উন্নয়নের লক্ষ্যে লন্ডনভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইকো সলিউশন সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।

এই প্রকল্পের আওতায় নগরবাসীর মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি, বর্জ্য সংগ্রহে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন এবং বর্জ্য থেকে পরিবেশবান্ধব উপায়ে শক্তি উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বুধবার (৬ আগস্ট) সিলেট সিটি কর্পোরেশন ভবনে এক অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার এবং ইকো সলিউশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খান মো. রেজা-উন-নবী।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রশাসক বলেন, সিলেটের উন্নয়নে সিলেটের সন্তানদের এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। আমি এই উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানাই। প্রবাসীদের, বিশেষ করে ইংল্যান্ডপ্রবাসীদের সঙ্গে সিলেটের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। ইকো সলিউশন এমন একটি সংস্থা, যার নেতৃত্বে রয়েছে এই শহরে বেড়ে ওঠা তরুণরা। তাই আমি বিশ্বাস করি, তারা এই নগরীকে সুন্দর ও আধুনিক করতে আন্তরিকভাবে কাজ করবে। এমন সময়োপযোগী প্রকল্প বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

চুক্তি অনুযায়ী, ইকো সলিউশন প্রথমে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই করবে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ একটি প্রতিবেদন সিটি কর্পোরেশনের কাছে পেশ করবে। এরপর Green Climate Fund (GCF) সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সহায়তা তহবিল থেকে অর্থায়নের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলো থেকে উন্নয়নশীল দেশের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ থাকে। তবে এসব বরাদ্দ অনেক সময় পরিকল্পনার অভাবে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় না। ইকো সলিউশন সেই ব্যবধান দূর করে পরামর্শ, প্রযুক্তি ও টেকসই পরিকল্পনার মাধ্যমে এই অর্থায়নকে কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়েই কাজ শুরু করেছে।

এই প্রসঙ্গে ইকো সলিউশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন বলেন, “বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের জন্য আন্তর্জাতিক জলবায়ু ও পরিবেশ তহবিল থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের বিশাল সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা, দক্ষতা ও স্বচ্ছতা না থাকায় এই অর্থায়ন অনেক সময় কাজে লাগানো সম্ভব হয় না। ইকো সলিউশন এর লক্ষ্য হচ্ছে সিলেট নগরীকে একটি পরিবেশবান্ধব ও স্মার্ট নগরীতে রূপান্তরের মাধ্যমে এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো। আমরা চাই, সিলেট হোক বাংলাদেশের একটি মডেল নগরী।”

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আশিক নূর, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ একলিম আবদীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, ইংল্যান্ড প্রবাসী মো. সাঈদ আল মোমিন মিশু, সিনিয়র সাংবাদিক মো. মঈন উদ্দিন মঞ্জু, মিসবাহ উদ্দীন আহমদ, হাসান মো. শামীম ও মো. হাবিবুর রহমান সুমন প্রমুখ।