গত ১৩ মাসে চট্টগ্রামে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে যে ১০টি খুনের ঘটনা ঘটেছে, তার ৭টিই হয়েছে রাউজানে। রাউজানে যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁরা হলেন আলমগীর আলম, আবদুল হাকিম, কমর উদ্দিন, মো. ইব্রাহিম, মানিক আবদুল্লাহ, মুহাম্মদ সেলিম ও দিদারুল আলম। তাঁদের কেউ গিয়াস কাদেরের অনুসারী, কেউ গোলাম আকবরের অনুসারী।
এ ছাড়া চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গত মার্চে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন মো. জাবেদ নামের এক কর্মী। তিনি মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আমিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া এলাকায় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে মো. সাজ্জাদ নামে ছাত্রদলের এক কর্মী খুন হন। সাজ্জাদ চট্টগ্রাম নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হকের অনুসারী। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমদাদুল ও চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহর অনুসারীদের মধ্যে এই গোলাগুলি হয় বলে পুলিশ জানায়।
এর বাইরে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী এলাকায় ব্যানার টাঙানো নিয়ে গত ২১ মার্চ সংঘর্ষের সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩ এপ্রিল মো. জিহাদ নামে যুবদলের এক কর্মী মারা যান। চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের সদস্যসচিব শরীফুল ইসলামের অনুসারীদের সঙ্গে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা শাহ আলমের অনুসারীদের ওই সংঘর্ষ হয়। জিহাদ শাহ আলমের অনুসারী ছিলেন।
এর বাইরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পাঁচ কর্মী খুন হয়েছেন গত ১৩ মাসে। এই পাঁচজনই রাউজানে খুন হয়েছেন।