প্রথম আলোর সাহসের উৎস কী? শক্তির ভিত্তি কী? প্রথম আলোর বিপুলসংখ্যক পাঠক। দেশে-বিদেশে যার কোটি কোটি পাঠক, সেই প্রতিষ্ঠান উপড়ে ফেলা যায় না। একটার পর একটা মামলা হয়েছে, কোনোটাতেই প্রথম আলো হেরে যায়নি, কারণ, আদালতে প্রমাণিত হয়েছে প্রথম আলো সত্য লিখেছে।
প্রথম আলোর ২৭ বছরের অভিজ্ঞতা হলো, আপনার পরিবেশিত খবরের তথ্য যদি নির্ভুল হয়, তাহলে ক্ষুব্ধ শাসকেরা, ক্ষমতাবানেরা, প্রভাবশালীরা ক্ষতি করতে পারে না। কাজেই সেই যে প্রশ্ন, প্রথম আলোর সাহসের উৎস কী, তার উত্তর হলো সত্য। সত্যই সাহস। সত্য অপ্রিয়, সত্য বিপজ্জনক, সত্য প্রকাশ কষ্টসাধ্য ও পরিশ্রমসাপেক্ষ, কিন্তু সত্যের জয় অনিবার্য। সত্য তাই আমাদের সাহসী করে তোলে। সত্য আমাদের রক্ষা করে।
সারা পৃথিবীতেই ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিকতা আজ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। মিথ্যা, গুজব, ফেক নিউজের ভিড়ে আসল তথ্য আলাদা করা বেশ কঠিন। নতুন প্রযুক্তির কল্যাণে যে কেউ যেকোনো খবর ছড়িয়ে দিতে পারেন, প্রতিটা স্মার্টফোন একেকটা চলন্ত টেলিভিশন প্রচারকেন্দ্র। নেতিবাচক শক্তিগুলো প্রকাশের অযোগ্য ভাষায় কুৎসা রচনা করে, সহিংস আক্রমণের প্ররোচনা দেয়; আবার খবরের মোড়কে, সাংবাদিকতার মুখোশের আড়ালে গুজব, মিথ্যা, ক্ষতিকর প্রচারণা চালায়। এটা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, ইউরোপ-আমেরিকারও সমস্যা।