সিলেট [english_date], [bangla_date], [hijri_date]

নতুন দিনে সত্যই সাহস-মতিউর রহমান

admin
প্রকাশিত November 4, 2025, 01:42 PM
নতুন দিনে সত্যই সাহস-মতিউর রহমান

নতুন দিনে সত্যই সাহস

মতিউর রহমান। সম্পাদক, প্রথম আলো
মতিউর রহমান। সম্পাদক, প্রথম আলোছবি: প্রথম আলো

হেমন্তের এই আলোকিত সকালে আপনারা আমাদের অভিবাদন গ্রহণ করুন। ৪ নভেম্বর ২০২৫ প্রথম আলোর ২৭ বছর পূর্ণ হলো। প্রথম আলোকে আপনারা ভালোবেসে গ্রহণ করেছেন। সুসময়ে ও দুঃসময়ে আমাদের পাশে থেকেছেন। প্রতিষ্ঠার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে প্রথম আলোকে আপনারা দিয়েছেন দেশের সর্বাধিক পঠিত দৈনিকের সম্মান। আজও তা অব্যাহত আছে। ২০২৫ সালের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশের সংবাদপত্র পাঠকদের ৫৭ শতাংশ প্রথম আলো ছাপা কাগজ ও অনলাইন পাঠ করে থাকেন।

এল বিশ্বস্বীকৃতি

দেশের মানুষদের ভালোবাসার পাশাপাশি ২০২৫-এ প্রথম আলো অর্জন করেছে বিশ্বস্বীকৃতি। গত মাসে জার্মানির মিউনিখে বিশ্বের ১২০টি দেশের সংবাদ প্রকাশকদের সংগঠন ‘ওয়ান-ইফরা’র (ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব নিউজ পাবলিশার্স) বিশ্বমঞ্চে দুটি ক্যাটাগরিতে প্রথম আলো পেয়েছে বিশ্বসেরার পুরস্কার; ১. ‘নেক্সট জেন রিডার এনগেজমেন্ট’ অ্যাওয়ার্ড (নতুন প্রজন্মের পাঠক সম্পৃক্ততা পুরস্কার), এবং ২. প্রিন্ট অ্যাডভারটাইজিং ক্রিয়েটিভিটি অ্যাওয়ার্ড (ছাপা পত্রিকায় আঞ্চলিক বিজ্ঞাপনে সৃজনশীলতা পুরস্কার)।

বিশ্বের এক শর বেশি দেশের এক হাজারের বেশি সংবাদমাধ্যম নিয়ে গঠিত আরেক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন বা ‘ইনমা’। এ বছর মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বসেছিল ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এর আসর। সেখানে বিশ্বের ৬টি অঞ্চলে সেরা সংবাদমাধ্যমের সর্বোচ্চ সম্মাননা দেওয়া হয় ৬টি প্রতিষ্ঠানকে। প্রথম আলো তাতে অর্জন করে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সেরা হওয়ার গৌরব। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ওপর ভিত্তি করে ‘প্রতিবাদের প্রতিধ্বনি: সত্য ও দৃঢ়তায় প্রজন্মকে প্রেরণা’ উদ্যোগের জন্য এই স্বীকৃতি পায় প্রথম আলো।

সাসটেইনিবিলিটি এবং প্রিন্ট ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডসে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে দুটি পুরস্কার গ্রহণ করছেন সম্পাদক মতিউর রহমান, পাশে ওয়ান-ইফরার ওয়ার্ল্ড প্রিন্টার্স ফোরামের পরিচালক ইঙ্গি রাফন ওলাফসন ও অ্যাওয়ার্ডের প্রধান জুরি গুন্ডুলা উল্লাহ (ডানে)। গত মাসে জার্মানির মিউনিখ শহরে
সাসটেইনিবিলিটি এবং প্রিন্ট ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডসে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে দুটি পুরস্কার গ্রহণ করছেন সম্পাদক মতিউর রহমান, পাশে ওয়ান-ইফরার ওয়ার্ল্ড প্রিন্টার্স ফোরামের পরিচালক ইঙ্গি রাফন ওলাফসন ও অ্যাওয়ার্ডের প্রধান জুরি গুন্ডুলা উল্লাহ (ডানে)। গত মাসে জার্মানির মিউনিখ শহরেছবি: প্রথম আলো

ইনমার একই আয়োজনে ‘বেস্ট আইডিয়া টু এনকারেজ রিডার এনগেজমেন্ট’ শ্রেণিতেও প্রথম পুরস্কার পেয়েছে প্রথম আলো। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ওপর ভিত্তি করে ‘প্রতিবাদের প্রতিধ্বনি: সত্য ও দৃঢ়তায় প্রজন্মকে প্রেরণা’ উদ্যোগের জন্য ন্যাশনাল ব্র্যান্ডে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ‘বেস্ট ইউজ অব অ্যান ইভেন্ট টু বিল্ড আ নিউজ ব্র্যান্ড’ শ্রেণিতে তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে প্রথম আলো। ‘জাতীয় স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াড: সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য উদ্ভাবন ও উদ্যোগের’ জন্য ন্যাশনাল ব্র্যান্ডে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এসব কৃতিত্ব শুধু প্রথম আলোর কর্মীদের নয়, আপনাদের, আপনারা যাঁরা প্রথম আলোর পাঠক ও সহযোগী। আপনাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ।

২৭ বছরের কঠিন পথ

প্রথম আলো একদিকে লাভ করেছে পাঠকদের ভালোবাসা, অন্যদিকে সব সময়েই, সব সরকারের আমলে, ক্ষমতাবানদের দমন-পীড়নের শিকার হতে হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটিকে। ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে যাত্রা শুরুর পর ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০০টির বেশি মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে প্রথম আলোর সম্পাদক ও সাংবাদিকদের। বিগত সরকারের আমলে দেওয়া ৫২টি মামলার সুরাহা এখনো হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও মামলা রুজু হয়েছে একটি।

বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছিলেন, ‘প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, দেশের মানুষের শত্রু।’ প্রথম আলোকে ধ্বংস করার, এর মালিকানা নিয়ে নেওয়া ও সম্পাদক বদলের কঠিন উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। পরিহাস হলো, তিনি আজ দেশছাড়া, আর প্রথম আলো এখনো রয়ে গেছে দেশের মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাগজ ও ডিজিটাল গণমাধ্যম হিসেবে। পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও।

প্রথম আলোর ছাপা পত্রিকায় প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল
প্রথম আলোর ছাপা পত্রিকায় প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল

স্বৈরাচারী শাসনের অবসানের পর গণমাধ্যমের জন্য মুক্ত, স্বাধীন, নির্ভয় পরিবেশ তৈরি হবে বলে যে আশা দেখা দিয়েছিল, বাস্তবে তার দেখা মেলেনি। বরং ফেক নিউজ, ব্যক্তিগত কুৎসা, সংবাদমাধ্যম কার্যালয়ের সামনে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা এবং প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ভীতি প্রদর্শন—বর্তমান সময়ে নির্ভীক সাহসী বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পক্ষে মোটেই সহায়ক হয়নি। ‘আমি তোমার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করতে পারি, কিন্তু তোমার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমি জীবন দিতে প্রস্তুত’—১৯০৬ সালে ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার-সম্পর্কিত বইয়ে ব্রিটিশ লেখক ইভেলিন বিয়াত্রিস যে উক্তি করেছিলেন, আমাদের দেশের বাস্তবতা তা থেকে যোজন যোজন দূরে। ‘তোমাকে বা তোমার মত আমি পছন্দ করি না, কাজেই আমি তোমাকে আক্রমণ করব’—এটাই যেন কোনো কোনো মহলের ঘোষিত ও চর্চিত পথ।

১৯৯৮ সালের নভেম্বরে যাত্রা শুরুর পর ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০০টির বেশি মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে প্রথম আলোর সম্পাদক ও সাংবাদিকদের। বিগত সরকারের আমলে দেওয়া ৫২টি মামলার সুরাহা এখনো হয়নি।

শাসকেরা কখনোই প্রথম আলোকে পছন্দ করে উঠতে পারেননি। কেন? কারণ, প্রথম আলো প্রথম দিন থেকে ঘোষণা করে রেখেছে, প্রথম আলো হবে স্বাধীন এবং দলনিরপেক্ষ। কোনো দলের মুখপত্র হয়ে উঠবে না। সত্য কথা বলে যাবে, তা কারও পক্ষে বা বিপক্ষে গেলেও প্রথম আলো তা প্রকাশ থেকে বিরত থাকবে না।

আপনাদের হয়তো মনে আছে, ৬ এপ্রিল ২০১৪ প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় রোজিনা ইসলামের প্রতিবেদনটি—‘ক্রেস্টের স্বর্ণের ১২ আনাই মিছে!’ মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠনকে সম্মাননার সময় দেওয়া ক্রেস্টে যে পরিমাণ স্বর্ণ থাকার কথা ছিল, তা দেওয়া হয়নি। কিংবা ২০১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের পরের দিনের প্রথম আলোর শিরোনাম, ‘জাল ভোট, কলঙ্কিত নির্বাচন’। এ ধরনের সত্য উচ্চারণ বিপদ ডেকে আনে। পদে পদে সরকারের দমন-পীড়নের শিকার হয় প্রথম আলো। মামলা, গ্রেপ্তার, বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া এবং পত্রিকা বিক্রিতে বাধা দেওয়া, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিয়ে প্রথম আলোয় বিজ্ঞাপন না দিতে বাধ্য করার মতো কঠিন কঠিন ঝড়ঝঞ্ঝা ও আক্রমণ এসেছে। কিন্তু প্রথম আলো তার নীতি থেকে সরে যায়নি।

প্রথম আলোর ছাপা পত্রিকায় প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি
প্রথম আলোর ছাপা পত্রিকায় প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি

প্রথম আলোর সাহসের উৎস কী? শক্তির ভিত্তি কী? প্রথম আলোর বিপুলসংখ্যক পাঠক। দেশে-বিদেশে যার কোটি কোটি পাঠক, সেই প্রতিষ্ঠান উপড়ে ফেলা যায় না। একটার পর একটা মামলা হয়েছে, কোনোটাতেই প্রথম আলো হেরে যায়নি, কারণ, আদালতে প্রমাণিত হয়েছে প্রথম আলো সত্য লিখেছে।

প্রথম আলোর ২৭ বছরের অভিজ্ঞতা হলো, আপনার পরিবেশিত খবরের তথ্য যদি নির্ভুল হয়, তাহলে ক্ষুব্ধ শাসকেরা, ক্ষমতাবানেরা, প্রভাবশালীরা ক্ষতি করতে পারে না। কাজেই সেই যে প্রশ্ন, প্রথম আলোর সাহসের উৎস কী, তার উত্তর হলো সত্য। সত্যই সাহস। সত্য অপ্রিয়, সত্য বিপজ্জনক, সত্য প্রকাশ কষ্টসাধ্য ও পরিশ্রমসাপেক্ষ, কিন্তু সত্যের জয় অনিবার্য। সত্য তাই আমাদের সাহসী করে তোলে। সত্য আমাদের রক্ষা করে।

সারা পৃথিবীতেই ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিকতা আজ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। মিথ্যা, গুজব, ফেক নিউজের ভিড়ে আসল তথ্য আলাদা করা বেশ কঠিন। নতুন প্রযুক্তির কল্যাণে যে কেউ যেকোনো খবর ছড়িয়ে দিতে পারেন, প্রতিটা স্মার্টফোন একেকটা চলন্ত টেলিভিশন প্রচারকেন্দ্র। নেতিবাচক শক্তিগুলো প্রকাশের অযোগ্য ভাষায় কুৎসা রচনা করে, সহিংস আক্রমণের প্ররোচনা দেয়; আবার খবরের মোড়কে, সাংবাদিকতার মুখোশের আড়ালে গুজব, মিথ্যা, ক্ষতিকর প্রচারণা চালায়। এটা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, ইউরোপ-আমেরিকারও সমস্যা।

ঐতিহ্যবাহী সংবাদপ্রতিষ্ঠানগুলো এটাকেই সুযোগ বলে মনে করে, তারা জোরেশোরে বলে, এখনই সবচেয়ে বেশি দরকার সাংবাদিকতা, এখনই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সত্য, অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন সত্য জানার জন্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যমের ওপর মানুষ ভরসা রাখে বেশি। অন্ধকার যেমন ছড়ি ঘুরিয়ে দূর করা যায় না, আলো জ্বালতে হয়, তেমনি ফেক নিউজের আঁধারের বিরুদ্ধে স্প্যানিশ ভাষার জনপ্রিয় উপন্যাসের চরিত্র সেই দোন কিহোতের মতো তরবারি চালিয়ে লাভ নেই, শুধু জ্বালাতে হবে সত্যের আলো। বাংলাদেশেও আমরা দেখেছি, একটা খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মানুষ ‘প্রথম আলো ডটকম’-এ যায়, আর যাচাই করে দেখে। পরদিন প্রথম আলো ছাপা কাগজে খবরটা প্রকাশিত হওয়ার পর সেটাকেই সত্য বলে মনে করেন পাঠক। প্রথম আলোর ওপরে মানুষের এই যে ভরসা, তা আমাদের আরও দায়িত্বশীল হতে প্রেরণা জোগায়।

আমরা যদি বস্তুনিষ্ঠ থাকি, সততার সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সত্য খবর, সব ধরনের মত এবং নতুন দিনের বিষয়বস্তু নতুন দিনের মাধ্যমে প্রকাশ করে যেতে পারি, আমরা এগিয়ে যাব। আর তা করতে হবে নিজেদের জয়ের জন্য নয়, দেশ ও মানুষের বিজয়ের জন্য।

মতিউর রহমান, সম্পাদক, প্রথম আলো

তবে প্রযুক্তি এগোচ্ছে তিরের বেগে। পরিবর্তন ঘটছে প্রতিদিনই। সংবাদমাধ্যমের জগতে প্রথমে বলা হলো, ‘ডিজিটাল ফার্স্ট’, তারপর এল ‘মোবাইল ফার্স্ট’; এখন চলছে ‘ভিডিও ফার্স্ট’। এরপর আসছে, ‘এআই ফার্স্ট’। সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে হবে।

প্রথম আলো সময়ের চাহিদার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে সব সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। নতুন যুগের নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশাকে ধারণ করবে।

নতুনকে বরণ করে, নতুনকে ধারণ করে, নিজেকে নতুন করে তুলতে না পারলে আজকের দিনে সংবাদমাধ্যম প্রাসঙ্গিকতা হারাবে। আমরা এ বিষয়ে সচেতন আছি। মিথ্যা এবং সত্যের লড়াইটাও শাশ্বত, এটা চলবে। আমরা যদি বস্তুনিষ্ঠ থাকি, সততার সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সত্য খবর, সব ধরনের মত এবং নতুন দিনের বিষয়বস্তু নতুন দিনের মাধ্যমে প্রকাশ করে যেতে পারি, আমরা এগিয়ে যাব। আর তা করতে হবে নিজেদের জয়ের জন্য নয়, দেশ ও মানুষের বিজয়ের জন্য। কারণ, সত্য তথ্য গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান; সত্য তথ্য দুর্নীতি, অন্যায়, অবিচার, স্বৈরাচারের সবচেয়ে বড় প্রতিরোধক।

বাংলাদেশ জয়ী হবে, বাংলাদেশের মানুষের সেই জয়ের মিছিলে আমরা থাকব বিনীত সহযাত্রী হিসেবে।

সবাইকে আবারও প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা।