সিলেটে কঠিন বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখা সবচেয়ে বেশী দুর্নীতিগ্রস্ত !
সিলেটে কঠিন বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখা সবচেয়ে বেশী দুর্নীতিগ্রস্ত !
admin
প্রকাশিত November 4, 2025, 01:12 PM
সিলেটে কঠিন বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখা সবচেয়ে বেশী দুর্নীতিগ্রস্ত !
জনগোষ্ঠীর আচরণ পরিবর্তন বিষয়ক ক্যাম্পেইন উদ্বোধন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
‘যথাস্থানে ময়লা ফেলি, নিরাপদ সিলেট গড়ে তুলি’ স্লোগানকে সামনে রেখে সিলেটে নগরভিত্তিক কঠিন বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জনগোষ্ঠীর আচরণ পরিবর্তন বিষয়ক ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়েছে। ‘নগরভিত্তিক পানিচক্রের টেকসই রূপান্তর’ প্রকল্পের আওতায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এসএনভি’র যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর রিকাবীবাজারস্থ কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকারের সভাপতিত্বে ও এসএনভির ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর রহিমা বেগম ও এহসানুর রহমান আবিরের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পদ্মাসন সিংহ, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আলী আকবর, এসএমপির পুলিশ পরিদর্শক প্রভাকর রায়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিসিকের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ একলিম আবদীন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, আমাদের দেশ কেমন হবে, আমাদের শহর কেমন হবে তা নির্ভর করে আমাদের আচরণের ওপর। উন্নত দেশ হঠাৎ করে উন্নত হয়নি। ইতিবাচক আচরণের মাধ্যমে তারা তিলে তিলে দেশ উন্নত করেছে। আমাদের দেশ, আমাদের শহরকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে অবশ্যই আমাদের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা সবাই একটি ভালো এবং সুন্দর নগর চাই। সিটি কর্পোরেশনও এই লক্ষ্যে কাজ করছে। কিন্তু এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন একা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয়। সিটি কর্পোরেশনকে পুরো নগরবাসীর সহযোগিতা করতে হবে। ছড়া, ড্রেন বা রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, আমরা এই দেশটাকে নিজের দেশ মনে করি না, এই শহরটাকে নিজের শহর মনে করি না। তাই সুন্দর দেশ, সুন্দর শহর গড়তে পারি না। আমরা নিজেদের ঘর গুছিয়ে রাখি। কিন্তু বাইরে অধিকার ফলাই, আর যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলি। আমরা প্রত্যেকে এই নগরকে নিজের নগর মনে করলে এই নগর আর অসুন্দর, আর অপরিচ্ছন্ন থাকবে না। সিটি কর্পোরেশন নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি আমাদের প্রত্যেককে এই নগর সুন্দর রাখার দায়িত্ব নিতে হবে। সিলেট নগরীর বাসা-বাড়ি থেকে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনতে একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ও উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সিলেটভিত্তিক বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, পাড়া-মহল্লার ক্লাব-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
আলোচনা সভা শেষে বেলুন উড়িয়ে নগরভিত্তিক কঠিন বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জনগোষ্ঠীর আচরণ পরিবর্তন বিষয়ক ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি।
উল্লেখ্য, সিসিক ও এসএনভির সম্মিলিত আয়োজনে মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে নগরবাসীর আচরণ পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে ডোর টু ডোর ভিজিট, লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, ক্যারাভান রোড শো, যুবমেলা/ইয়ুথ কনফারেন্স, অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন, ওয়ার্ডভিত্তিক স্টিকারিং, গণমাধ্যম ও অনলাইন প্রচারণাসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।