নবগঠিত মহানগর তাঁতী দলের কমিটি নিয়ে বি ত র্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহবায়ক কায়েসের অ শ্লী ল ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে
নবগঠিত মহানগর তাঁতী দলের কমিটি নিয়ে বি ত র্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহবায়ক কায়েসের অ শ্লী ল ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে
admin
প্রকাশিত December 12, 2025, 03:36 PM
নবগঠিত মহানগর তাঁতী দলের কমিটি নিয়ে বিতর্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহবায়ক কায়েসের অ শ্লী ল ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে
অনলাইন ডেস্ক
গত ১০ ডিসেম্বর অনুমোদন হয় সিলেট মহানগর তাঁতী দলের কমিটি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান গত সোমবার মো. কয়েছ আহমেদকে আহবায়ক ও আমিনুল হক বেলালকে সদস্য সচিব করে ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট সিলেট মহানগর শাখা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেন।
তবে এই কমিটি অনুমোদনের পরই সিলেটের বিএনপি পরিবারে শুরু হয়েছে ক্ষোভ বিস্ময় ও কমিটি ঘোষণার পর নতুন আহবায়ক কয়েস আহমেদের একেরপর এক অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হতে থাকে ও এখন সবার টাইমলাইনে ভাসছে তাঁতী দলের মহানগর আহবায়ক কয়েস আহমেদের অশ্লীল ভিডিও ও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিএনপি বিরোধী পার্টগুলো এই ভিডিও দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে ও বিভিন্ন সময় কয়েস আহমেদের নারীবাজির ঘটনা নিয়ে সিলেটে এমনিতেই মুখরোচক গল্পের ছড়াছড়ি ও তাঁতী দলের আহবায়ক হওয়ার পর যেন তার নোংরামির ভিডিও হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও এছাড়া কয়েস আহমেদ গত ১৬ বছর কোন আন্দোলন সংগ্রামেই ছিলেন না ও বরংচ দুর্ধষ আওয়ামীলীগ ক্যাডার আজাদ, হাবিব, রঞ্জিতের সাথে ছিলো তার সখ্যতা দহরম মহরম ও তাকে কখনো বিএনপির মনে হয়নি। দুই একটি মামলায় সে আসামি হয়েছে সবগুলোই নারী গঠিত ও আর এ নিয়ে ছি ছি রব উঠেছে খোদ দলের ভেতর থেকে ও সিলেটের জাতীয়তাবাদী পরিবারের সদস্যরা সিলেট তাঁতী দলের এমন কমিটি নিয়ে বিভিন্নভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
এই কমিটির সাবেক সদস্য সচিব ফয়জুল কয়েস বলেন, যারা এমন নারী কেলেঙ্কারি মার্কা কমিটি দিয়েছেন তারা সিলেট বিএনপিকে ধ্বংসের জন্য নেমেছেন ও ৫ আগস্টের আগে জেলা আহবায়ক ফয়েজ আহমেদ দৌলত একটি মিছিল দিতে পারেনি ও তাকে অনুরোধ করেও আমরা মিছিলে আনতে পারিনি ও সেই দৌলত এখন জেলা আহবায়ক ও আর তিনিই প্রভাব খাটিয়ে এমন নারী কেলেঙ্কারি মার্কা মহানগর তাঁতীদলের কমিটি এনেছেন ও যারা দীর্ঘদিন ধরে তাঁতীদলের রাজনীতিকে ধরে রেখেছেন তাদেরকে মাইনাস করে কমিটি করা হয়েছে ও ফলে তাঁতীদলের দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা হতাশ।
কমিটিতে স্থান না পাওয়া সিলেটের আন্দোলন সংগ্রামের পরিচিত মুখ কারা নির্যাতিত বিগত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হাদ হোসেন রাক্কু বলেন, কমিটি দেয়া রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ডের অংশ ও কিন্তু যে কমিটি দেয়া হয়েছে এতে গত ১৭ বছরের আন্দোলন সংগ্রাম আর রাজপথের নেতাকর্মীদের রাখা হয়নি ও যাকে আহবায়ক করা হয়েছে তাকে নিয়ে ফেসবুকে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে ও সে আওয়ামী দোসর হিসেবে পরিচিত ও এছাড়া তার নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা ভিডিওতে সয়লাব ফেসবুক ও আগামী নির্বাচনে এগুলির এফেক্ট পড়বে।
বিগত কমিটির আহবায়ক আব্দুল গফ্ফার বলেন, তাঁতী দলকে সংগঠিত করতে আমরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি ও আওয়ামী জমানায় কেউ তাঁতী দলের দ্বায়িত্ব নিতে চাইতোনা ও আমরা মামলা হামলায় বিপর্যস্ত হয়েও তাতীদলকে সংগঠিত করতে কাজ করেছি ও এই কমিটি দেখে আমি হতাশ ও ফেসবুকে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। এগুলো জাতীয় নির্বাচনের আগে কাম্য ছিলো না। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আরেকটু দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিলো।
তাঁতী দলের নবগঠিত কমিটি গঠনের পেছনের কারিগর হিসেবে ধরা হচ্ছে জেলা আহবায়ক ফয়েজ আহমেদ দৌলতকে। তিনিও ৫ আগস্ট এর পূর্বে দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ৫ অগস্টের পূর্বে ফয়েজ আহমেদ দৌলতকেও আমরা প্রোগ্রাম করতে দেখিনি।
পদবঞ্চিত আরও একনেতা ফয়েজ আহমেদ দৌলতকে নিয়ে বলেন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা বিজিত চৌধুরীর সাথে তিনি চুটিয়ে ব্যবসা করেছেন ও চারপাঁচ বছর তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন ও তিনি মহানগর তাঁতীদলে এমন নারী কেলেঙ্কারি মার্কা কমিটি আনতে ভূমিকা রেখেছেন। এ বিষয়ে ফয়েজ আহমেদ দৌলতকে ফোন দিলে, তিনি ফোনে কথা বলবেন না বলে ফোন রেখে দেন।