সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর লুটের মামলার গ্রেপ্তার হওয়া উপজেলার বিএনপির সাবেক সভাপতি (পদ স্থগিত) সাহাব উদ্দিনকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
জামিন পাওয়ার পর রোববার নিজ এলাকা কোম্পানীগঞ্জ গেলে তাকে ‘গণসংবর্ধনা’ প্রদান করে ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপ। সাহাব উদ্দিন ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট নগরীর কুমারপাড়া এলাকা থেকে সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯। এরপর তাকে ১ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সাদাপাথর লুটে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
তবে রোববার তিনি জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান। এরপর বেলা ২ টায় ভোলাগঞ্জ আরাবিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার মাঠে তার সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ধলাই সেতু রক্ষার আন্দোলন করায় প্রায় ২মাস অন্যায় ভাবে কারাভোগ করতে হয়েছে সাহাব উদ্দিনকে। এমন যদি হয় তাহলে ভবিষ্যতে ভালো কাজ করতে মানুষ নিরুৎসাহিত হবে।
এর আগে সিলেট ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে সিলেট থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সাহাব উদ্দিনকে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দিনের পরিচালনায় সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক আব্দুল সালাম বাবুল, কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল আলীম, আমেরিকা প্রবাসী কমিউনিটি নেতা হাজী আব্দুর রকিব, ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের নির্বাহী সদস্য আখতারুজ্জামান নোমান প্রমুখ।
সাদাপাথর লুটের ঘটনার পরপরই আলোচনায় উঠে আসে বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনের নাম।
গত ১১ আগস্ট রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে সাহাব উদ্দিনের সব পদ স্থগিত করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ বিএনপির নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি অনৈতিক কর্মকাণ্ড’-এ জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের দলীয় সব পদ স্থগিতের এ তথ্য জানানো হয়।
সাহাব উদ্দিন সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তিনি ভোলাগঞ্জ এলাকার মৃত আব্দুল বারীর ছেলে।